ভিডিও

 হবিগঞ্জে হাত-মুখ বেঁধে মা-মেয়েকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৬:৫৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে মা ও মেয়েকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

 গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ভূইগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 রোববার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র‌্যাব-৩ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে হাত-মুখ বেঁধে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ করা হয়। সেই মামলায় সালাউদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত। সাজার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। গত শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ ভূইগড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মা ও মেয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে বাস করত। গ্রেফতার সালাউদ্দিন এবং মামলার অপর আসামি শাকিল ও হারুন একই এলাকায় থাকতেন। সালাউদ্দিন মামলার অপর আসামি শাকিল ও হারুনের সঙ্গে দিন মজুরের কাজ করতেন এবং তাদের সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটাতেন।

মা ও মেয়ের পূর্ব পরিচিত ছিল শাকিল। সে অন্যদের জানায় ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা থাকেন। পুরুষ না থাকায় ওই বাড়িতে নজর রাখে আসামিরা। পরে ২০২০ সালের ২ অক্টোবর রাতে ওই বাড়িতে এসে শাকিল দরজায় ধাক্কা দেন। শাকিলের ডাক শুনে দরজা খুলে বের হন মা ও মেয়ে। এ সময় শাকিলের সঙ্গে আসামি সালাউদ্দিন ও হারুন ছিল। পরে আসামিরা জরুরি কথা আছে বলে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে মা ও মেয়েকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ করে। ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষকরা।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আসামিরা চলে গেলে ওই নারী স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্যের পরামর্শে ওই নারী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় শাকিল, সালাউদ্দিন ও হারুনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুজনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও শাকিল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং কিশোর হারুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতর হয়। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক সালাউদ্দিন ও পলাতক শাকিলের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘রায়ের পর সালাউদ্দিন এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে আত্মগোপন অটোরিকশা চালান। রাজধানীতে ৪-৫ মাস থাকার পর সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভূইগড় এলাকায় চলে যায়। অপর আসামি শাকিল পলাতক রয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS